আমি পারবনা এনে দিতে আকাশের চাঁদ,
মিটিমিটি জ্বলে থাকা শুকতারা খানি।
এই হাত ছেড়ে দিয়ে যাও যদি চলে,
দুচোখে ঝরবেনা এক ফোঁটা পানি।
স্মৃতিপটে ছবি হয়ে রইবে এ প্রেম,
ভালবাসি বলে রাখবনা দাবি, বিদায়ের কালে।“
“সে বলেছিল, তুমি আমার অন্ধ আঁখির তারা।
কল্পনা আচ্ছন্ন বিন্দুবিন্দু আশার বর্ণচ্ছটা।
তুমি আছো তাই, স্বপ্ন বুনি এতো।
পৃথিবীর সব রঙ দেখতে চাই শুধু তোমার দুটি চোখে।
আঁধারে লুকাতে চাই তোমার প্রশস্ত বুকে।
পথমাঝে একা ফেলে যাও যদি চলে,
না দেখি কভু যেন আঁখি দুটি মেলে।“
কোন এক গোধূলি বেলায়, পাখিদের নীড়ে ফেরা ক্ষণে,
“হে ঈশ্বর শোন প্রার্থনা,
ক্ষীণ দাও তবু দাও একটুকু আলো, আমার দুটি নয়নে।“
ঈশ্বর দয়াময়, কৃপা করলেন তারে দান।
ছুটে এসেছিল সে আমার আঙ্গিনায়, পেয়ে নেত্রজুগলে প্রাণ।
তবে সঙ্গী এবার জুটল যে তার, অন্ধ একজন।
“অশ্রুভেজা একগাল হেসে,
সে কি ধরবে আমার হাত, করবে আমায় আপন?”
“বিষাক্ত আঁধার দিয়েছি পাড়ি, আমি কতনা অগ্নিপ্রহরে,
কি করে ফিরি বলো আজ আবার অন্ধকারে?
আজ কেবলই হতে চাই আমি, আলোকের সারথি,
ক্ষমা কর, আমি মুছে দিতে চাই সব স্মৃতি।“
“থাকতে পারে কি প্রার্থনা? থাকতে পারে কি কথা?
করবনা অভিযোগ, নেই কোন ব্যথা।
জুথি হয়ে ফুটে রও তুমি, কোন বন্য বীথিকায়।
ভালবেসে যাব আমি তোমায় অভিসারে।
তুমি হও বাঁধনহারা, নীলকণ্ঠী পাখি।
যতনে রেখ শুধু মোর দুটি আঁখি।“
No comments:
Post a Comment