মেথি স্বাদে একটু তেতো। এতে রয়েছে রক্তে চিনির মাত্রা কমানোর বিস্ময়কর শক্তি। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে বা এক গ্লাস পানিতে মেথি ভিজিয়ে রেখেসেই পানি খেলে কৃমি নাশ হয়। রক্তে চিনির মাত্রা কমে। রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়।
বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি। গবেষণায় দেখাগেছে, যে ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত মেথি খান, তাঁদের ডায়াবেটিস জনিত অসুখগুলো কম হয় এবং স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কম।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য মেথি শ্রেষ্ঠ পথ্য। যাদের ডায়াবেটিস নেই মেথি তাদের জন্যও জরুরি। মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য কালো জিরার মতো মেথি পিষে খাওয়াটাও যথেষ্টউপকারী। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মেথি ভেজে পিষলে পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়।রৌদ্রে শুকিয়ে ভাজলে খেতে মচমচে লাগবে।
মেথি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে রাখে সতেজ। রক্তের উপাদানগুলোকে করে কর্মক্ষম।ফলে মানুষের কর্মোদ্দীপনাও বৃদ্ধি পায়। মৌসুমি রোগগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধকরে।
৩০টি দেশের ২৫ হাজার পুরুষের উপর গবেষণায় করে দেখা গেছে, যেসবপুরুষ তাদের যৌনশক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা মেথির রস দিনে দু’বার পরিমাণমতো সেবন করলে আশ্চর্য সুফল পেতে পারেন। এই পরিমিত সেবনে তাদের দাম্পত্যজীবন হয়ে উঠবে আরও সুখময়।
হতাশা বা অবসাদ, অতিরিক্ত শারীরিক ওজন ওঅ্যালকোহল পানে অসুস্থতা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি বহু অসুখ ও শারীরিক সমস্যারজন্য মেথির রস এক মহৌষধ! মেথির রসে ‘সাপোনিস’ বা ‘ডাইওসজেনিন’ নামে একধরনের যৌগ পদার্থ আছে, যা মানবদেহের হরমোন স্তর বা এর পরিমাণ বৃদ্ধিতেসহায়তা করে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, অন্তত ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত দিনে দু’বার করে এর রস নিয়মিত পান না করলে তেমন উপকারিতা পাওয়া যাবে না। শুধুতাই নয়, আপনি যদি মেথি সরাসরি খেয়ে ফেলেন তবে এটি আপনার ডায়েটে সহায়তাকরবে।
মেথি যদি আপনি আপনার চুলে প্রয়োগ করেন তাহলে বিভিন্ন ধরনেরসমস্যা দূর করবে। যেমন, চুল পড়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। মেথিরদানাকে কিছুটা গরম করে সারারাত নারিকেল তেলে ভিজিয়ে রেখে চুলে মেসেজ করলেবেশ কার্যকরী ভূমিকা পাওয়া যাবে। এভাবে নিয়মিত দিলে চুল পড়া রোধ করে, চুল ঘন হয়। এছাড়া এটি চুলের খুসকি দূর করে, উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং চুলেরবিভিন্ন পুষ্টির যোগান দেয়।
এছাড়াও, ত্বক পরিষ্কার করতে, বিভিন্ন ক্ষতএবং ব্যথা সারাতেও এটি অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া আপনারপ্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মেথি গাছের নির্যাস ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ, কালোদাগ এবং ফুসকুড়ি নিরাময় হয়।
-সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment