সভ্যতা বিকাশের শুরু থেকেই নতুন নতুন উদ্ভাবনীর মাধ্যমে অর্থনীতি ও উৎপাদনকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে মানবজাতি। এসব উদ্ভাবনের পেছনে রয়েছেন সব প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা। এমনকি তারা আবিষ্কারের নেশায় জীবন বাজি রেখে নিহতও হয়েছিলেন। এখানে জানুন এমন ১৬টি আবিষ্কারের কথা যার আবিষ্কারক তার সৃষ্টির দ্বারাই নিহত হয়েছিলেন।
১. স্ট্যানলি মোটর ক্যারিজ কম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সিস অস্কার স্ট্যানলি তার বানানো গাড়ি চালাতে গিয়ে একটি কাঠের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিহত হন। ১৮৯৬ সালে স্ট্যানলি ও তার জমজ ভাই ফ্রিল্যান অস্কার স্ট্যানলি একটি স্ট্যানলি স্টিমার বানিয়েছিলেন। ১৯০৬ সালে এই গাড়িটি ২৮.২ সেকেন্ডে ১২৭ মাইল বেগে ছোটার বিশ্বরেকর্ড করে। ১৯১৮ সালে তা চালাতে গিয়েই মারা গেলেন উদ্ভাবক।
২. বিশ্বে প্রথমবারের মতো গরম বাতাসের মাধ্যমে উড়তে সক্ষম বেলুনে চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে উড়াল দেন জিন-ফ্রাঙ্কোস পিলাত্রি ডি রজিয়ার। ১৭৮৩ সালের ওই ঐতিহাসিক ঘটনায় তার সফরসঙ্গী ছিলেন মার্কুইস ডি'আরলান্দেজ। কিন্তু অজানা কারণে ইংলিশ চ্যানেলে সলিল সমাধি হয় তাদের।
৩. নিউ মেক্সিকোতে গোপন এক বিজ্ঞান গবেষণাগারে কাজ করছিলেন লুইস স্লোতিনসহ আরো আটজন বিজ্ঞানী। দুই-তৃতীয়াংশ বেরিলিয়ামের আস্তর দেওয়া একটি বন্তু নিয়ে কাজ করছিলেন তারা। প্লুটোনিয়ামকে একটি জটিল স্তরে নিয়ে যায় তাদের গবেষণা। সেখানে একটি স্ক্রু-ড্রাইভার প্লুটোনিয়ামে পড়ে যায় এবং হালকা বিস্ফোরণের মাধ্যমে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ে স্লোতিনের দেহে। ঠিক ৯ দিন পর মারা যান তিনি।
৪. ১৮৬৩ সালে প্রিন্টিং প্রেসের একটি উন্নত সংস্করণ উদ্ভাবন করেন উইলয়াম বুলোক। আধুনিক সংবাদপত্র ছাপাখানার প্রথম মেশিন এটি। এই মেশিনে কাটা পড়ে বুলোকের পা। সেখানে পচন ধরে যায় এবং সার্জারির সময় মারা যান তিনি।
৫. রাস্তায় বহু মানুষকে জগিংয়ের জন্য রাস্তায় আনেন জেমস ফিক্স। এই মানুষটি এক সকালে জগিং করতে করতে মারা যান।
৬. বোলসেভিক পার্টি গঠনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ছিলেন আলেক্সান্ডার বগডানোভ। কিন্তু ১৯০৯ সালে বিপ্লবের আগেই তাকে পার্টি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বিজ্ঞান, ওষুধ এবং মনোচিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা গবেষণা করেছেন। ১৯২০ এর দশকে তিনি ব্লাড ট্রান্সফিউশন নিয়ে কাজ শুরু করেন। এর মাধ্যমে হারানো যৌবনকে ফিরে পেতে নিজেই রক্ত বদলে মারা যান তিনি।
৭. টাইটানিকের নকশাকারীদের প্রধান থমাস অ্যান্ড্রুস এই ঐতিহাসিক জাহাজের ডিজাইন করেন। টাইটানিক ডোবার সময় তাকে ব্যস্ত দেখা গেছে মানুষকে লাইফ জ্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার কাজে।
৮. উড়ন্ত ফোর্ড পিন্টো এর উদ্ভাবকরা গাড়ির ওপর দুটো পাখা লাগিয়ে তা নিয়ে উড়াল দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন। হেনরি স্মোলিনিস্কি এবং হাল ব্লেক এভাবে উড়াল দিয়ে কয়েক শো মাইল যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু আকাশে পাখা দুটো খুলে যাওয়ায় পর দুর্ঘটনায় নিহত হন তারা।
৯. 'গ্লাইডার কিং' ওটো লিলিয়েনথালের ওড়াউড়ি দেখে বিমান বানানোর স্বপ্ন দেখেছেন
রাইট ভাতৃদ্বয়। একটি গ্লাইডিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলেন তিনি, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
১০. খ্রিষ্টাপূর্ব তৃতীয় শতকে কুইন ডাইনেস্টির এক চ্যান্সেলর লি সি মানবদেহের পাঁচটি ব্যথা দূরীকরণের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। পরে একই পদ্ধতি নিজের ওপর প্রয়োগ করে মারা যান তিনি।
১১. এক অস্ট্রেলিয়ান উদ্ভাবক তার উদ্ভাবিত রকেট নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে তা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হন তিনি। ১৯২৭ সালে ম্যাক্স ভ্যালিয়ার নামের ওই উদ্ভাবক স্পেসফ্লাইট সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১২. দশম শতকের আবু নাসর ইসমাইল ইবনে হাম্মাদ আল-জাওয়াহিরি বিখ্যাত একটি আরব ডিকশনারি লেখার জন্য। দুই হাতে দুটো কাঠের তৈরি পাখা লাগিয়ে ভবনের ছাদ থেকে উড়াল দেওয়ার জন্য লাফ দেন। নিচে পড়ে নিহত হন তিনি।
১৩. পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে অবদানের জন্য মেরি কুরি দুবার নোবেল পান। রেডিয়াম ও পোলোনিয়াম নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন। তিনি এক্স-রে আবিষ্কার করেন। তিনি রেডিওঅ্যাকটিভিটি এবং রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করলেও ১৯৩৪ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
১৪. নিজ হাতে বানানো একটি ব্যারেলে ঢুকে নায়াগ্রা জলপ্রপাত জয় করা আটজন মহানায়কের একজন ক্যারেল সোসেক। ১৯৮৫ সালে তিনি একইভাবে একটি ব্যারেলে করে হিউস্টেন অ্যাস্ট্রোডমের ছাদ দিয়ে গড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। খুলি, হাড় গুঁড়িয়ে যায়।
১৫. কাপড় দিয়ে বানানো প্যারাশুট দিয়ে নিরাপদে আইফেল টাইয়ার থেকে অবতরণ করতে চেয়েছিলেন ফ্রান্সের দর্জি এবং উদ্ভাবক ফ্রাঞ্জ রেচেল্ট। ১৯১২ সালে তার এ প্রচেষ্টা বৃথা যায়।
১৬. সোভিয়েত উদ্ভাবক ভ্যালেরিয়ান আবাকোভস্কি প্রপেলারচালিত একটি রেলগাড়ি বানান। সোভিয়েত ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দ্রুততার সঙ্গে অফিসিয়াল কাগজপত্র পৌঁছে দিতেই তার এ প্রচেষ্টা। কিন্তু পরীক্ষার সময় দুর্ঘটনা পড়ে মারা যান তিনি।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
১. স্ট্যানলি মোটর ক্যারিজ কম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্সিস অস্কার স্ট্যানলি তার বানানো গাড়ি চালাতে গিয়ে একটি কাঠের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে নিহত হন। ১৮৯৬ সালে স্ট্যানলি ও তার জমজ ভাই ফ্রিল্যান অস্কার স্ট্যানলি একটি স্ট্যানলি স্টিমার বানিয়েছিলেন। ১৯০৬ সালে এই গাড়িটি ২৮.২ সেকেন্ডে ১২৭ মাইল বেগে ছোটার বিশ্বরেকর্ড করে। ১৯১৮ সালে তা চালাতে গিয়েই মারা গেলেন উদ্ভাবক।
২. বিশ্বে প্রথমবারের মতো গরম বাতাসের মাধ্যমে উড়তে সক্ষম বেলুনে চড়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে উড়াল দেন জিন-ফ্রাঙ্কোস পিলাত্রি ডি রজিয়ার। ১৭৮৩ সালের ওই ঐতিহাসিক ঘটনায় তার সফরসঙ্গী ছিলেন মার্কুইস ডি'আরলান্দেজ। কিন্তু অজানা কারণে ইংলিশ চ্যানেলে সলিল সমাধি হয় তাদের।
৩. নিউ মেক্সিকোতে গোপন এক বিজ্ঞান গবেষণাগারে কাজ করছিলেন লুইস স্লোতিনসহ আরো আটজন বিজ্ঞানী। দুই-তৃতীয়াংশ বেরিলিয়ামের আস্তর দেওয়া একটি বন্তু নিয়ে কাজ করছিলেন তারা। প্লুটোনিয়ামকে একটি জটিল স্তরে নিয়ে যায় তাদের গবেষণা। সেখানে একটি স্ক্রু-ড্রাইভার প্লুটোনিয়ামে পড়ে যায় এবং হালকা বিস্ফোরণের মাধ্যমে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ে স্লোতিনের দেহে। ঠিক ৯ দিন পর মারা যান তিনি।
৪. ১৮৬৩ সালে প্রিন্টিং প্রেসের একটি উন্নত সংস্করণ উদ্ভাবন করেন উইলয়াম বুলোক। আধুনিক সংবাদপত্র ছাপাখানার প্রথম মেশিন এটি। এই মেশিনে কাটা পড়ে বুলোকের পা। সেখানে পচন ধরে যায় এবং সার্জারির সময় মারা যান তিনি।
৫. রাস্তায় বহু মানুষকে জগিংয়ের জন্য রাস্তায় আনেন জেমস ফিক্স। এই মানুষটি এক সকালে জগিং করতে করতে মারা যান।
৬. বোলসেভিক পার্টি গঠনে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ছিলেন আলেক্সান্ডার বগডানোভ। কিন্তু ১৯০৯ সালে বিপ্লবের আগেই তাকে পার্টি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তিনি বিজ্ঞান, ওষুধ এবং মনোচিকিৎসার ক্ষেত্রে নানা গবেষণা করেছেন। ১৯২০ এর দশকে তিনি ব্লাড ট্রান্সফিউশন নিয়ে কাজ শুরু করেন। এর মাধ্যমে হারানো যৌবনকে ফিরে পেতে নিজেই রক্ত বদলে মারা যান তিনি।
৭. টাইটানিকের নকশাকারীদের প্রধান থমাস অ্যান্ড্রুস এই ঐতিহাসিক জাহাজের ডিজাইন করেন। টাইটানিক ডোবার সময় তাকে ব্যস্ত দেখা গেছে মানুষকে লাইফ জ্যাকেট পৌঁছে দেওয়ার কাজে।
৮. উড়ন্ত ফোর্ড পিন্টো এর উদ্ভাবকরা গাড়ির ওপর দুটো পাখা লাগিয়ে তা নিয়ে উড়াল দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন। হেনরি স্মোলিনিস্কি এবং হাল ব্লেক এভাবে উড়াল দিয়ে কয়েক শো মাইল যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু আকাশে পাখা দুটো খুলে যাওয়ায় পর দুর্ঘটনায় নিহত হন তারা।
৯. 'গ্লাইডার কিং' ওটো লিলিয়েনথালের ওড়াউড়ি দেখে বিমান বানানোর স্বপ্ন দেখেছেন
রাইট ভাতৃদ্বয়। একটি গ্লাইডিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলেন তিনি, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
১০. খ্রিষ্টাপূর্ব তৃতীয় শতকে কুইন ডাইনেস্টির এক চ্যান্সেলর লি সি মানবদেহের পাঁচটি ব্যথা দূরীকরণের পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। পরে একই পদ্ধতি নিজের ওপর প্রয়োগ করে মারা যান তিনি।
১১. এক অস্ট্রেলিয়ান উদ্ভাবক তার উদ্ভাবিত রকেট নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে তা বিস্ফোরিত হয়ে নিহত হন তিনি। ১৯২৭ সালে ম্যাক্স ভ্যালিয়ার নামের ওই উদ্ভাবক স্পেসফ্লাইট সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন।
১২. দশম শতকের আবু নাসর ইসমাইল ইবনে হাম্মাদ আল-জাওয়াহিরি বিখ্যাত একটি আরব ডিকশনারি লেখার জন্য। দুই হাতে দুটো কাঠের তৈরি পাখা লাগিয়ে ভবনের ছাদ থেকে উড়াল দেওয়ার জন্য লাফ দেন। নিচে পড়ে নিহত হন তিনি।
১৩. পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে অবদানের জন্য মেরি কুরি দুবার নোবেল পান। রেডিয়াম ও পোলোনিয়াম নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন। তিনি এক্স-রে আবিষ্কার করেন। তিনি রেডিওঅ্যাকটিভিটি এবং রেডিয়েশন নিয়ে কাজ করলেও ১৯৩৪ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
১৪. নিজ হাতে বানানো একটি ব্যারেলে ঢুকে নায়াগ্রা জলপ্রপাত জয় করা আটজন মহানায়কের একজন ক্যারেল সোসেক। ১৯৮৫ সালে তিনি একইভাবে একটি ব্যারেলে করে হিউস্টেন অ্যাস্ট্রোডমের ছাদ দিয়ে গড়িয়ে যেতে চেয়েছিলেন। খুলি, হাড় গুঁড়িয়ে যায়।
১৫. কাপড় দিয়ে বানানো প্যারাশুট দিয়ে নিরাপদে আইফেল টাইয়ার থেকে অবতরণ করতে চেয়েছিলেন ফ্রান্সের দর্জি এবং উদ্ভাবক ফ্রাঞ্জ রেচেল্ট। ১৯১২ সালে তার এ প্রচেষ্টা বৃথা যায়।
১৬. সোভিয়েত উদ্ভাবক ভ্যালেরিয়ান আবাকোভস্কি প্রপেলারচালিত একটি রেলগাড়ি বানান। সোভিয়েত ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দ্রুততার সঙ্গে অফিসিয়াল কাগজপত্র পৌঁছে দিতেই তার এ প্রচেষ্টা। কিন্তু পরীক্ষার সময় দুর্ঘটনা পড়ে মারা যান তিনি।
সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
No comments:
Post a Comment