বয়স
১. স্কুল সার্টিফিকেটে অথবা পাসপোর্টে যে জন্ম তারিখ দেওয়া হওয়ছে সেটাই বলতে হবে।
২. বয়স বলার ক্ষেত্রে বর্তমানে একটি ধারা বাংলাদেশে প্রচলিত হয়েছে। যেমন ২০ পেরিয়ে ২১। এটা
কনফিউজিং। জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯০ এ হয়ে থাকলে ১ জানুয়ারি ২০১০এ বয়স বলতে হবে ২০।
৩. নারীদের বয়স জিজ্ঞাসা করাটা অভদ্রতা। ব্যতিক্রম হতে পারে চাকরি, ব্যবসা, চিকিৎসা স্কুলÑকলেজÑইউনিভার্সিটিতে ভর্তি এবং বিয়ের সময়ে।
৪. বাংলাদেশে যে বয়স চুরি করা হয়, সেটা এখন পশ্চিমে অনেকেই জানে। সেখানে এফিডেভিট করেও পাসপোর্টের বয়স বদলানো যায় না। সুতরাং সাবধান।
সম্বোধন
১. নিজের নাম বলার সময়ে আগে মৌলভী, শ্রীযুক্ত, শ্রীমান, শ্রীমতী, মি, মিসেস অথবা মিজ বলতে হয় না।
২. অপর পক্ষকে সম্বোধনের সময়ে মি, মিসেস অথবা মিজ বলাই সঙ্গত। এতে হিন্দু মুসলিম চিহ্নিত করার সমস্যা হয় না। মি জয়নুল আবেদিন, মিসেস আফরোজা আবেদিন বা মিজ আফরোজা আবেদিন বলা উচিত হবে। যদি সেই নারী বিবাহিত নাকি অবিবাহিত জানা না থাকে, তাহলে তাকে মিজ আফরোজা আবেদিন বলতে হবে। সুতরাং নারীদের ক্ষেত্রে সবসময়ই মিজ বলে সম্বোধন করলে ভুল হবে না।
৩. তবে মি জয়নুল অথবা মিসেস জয়নুল বা মিজ জয়নুল বলা ভুল হবে। মি, মিসেস ও মিজ শব্দ ব্যবহৃত হয় পুরো নাম বলার আগে অথবা সারনেইম বলার আগে। যেমন, বলতে হবে মি আবেদিন, মিসেস আবেদিন অথবা মিজ আবেদিন। মনে রাখতে হবে মি কিনটন। কিন্তু মি বিল নয়। মিসেস কিনটন। কিন্তু মিসেস হিলারি নয়। মিজ কিনটন। কিন্তু মিজ চেলসি নয়।
-দৈনিক নয়া দিগন্ত
No comments:
Post a Comment