সে যাই হোক, এই লেখাটির পটভূমি হলো সাম্প্রতিক সময়ে চলমান বিভিন্ন ধর্মীয় অরাজকতা। আমি খুব বেশি জানি বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। আমার বিশ্বাসে ভুল থাকতে পারে। তবে ধর্ম বিষয়ে এই কথাটি আমার জানতে ইচ্ছা করে খুব, ধর্ম আসলে কি? এমন কিছু যা আমাকে ধারণ করে, নাকি এমন কিছু যাকে আমি ধারণ করি? ঔজ্জ্বল্য, যা ধাতুর একটি ধর্ম। কারন এই বৈশিষ্ট্য ধাতু ধারণ করে। আমি মনে করি, ধর্মের ব্যাপারটিও হয়তো এমনই।
একজন মুসলমান হিসেবে আমি গর্বিত। আমি মুসলমান, এটি আমার জন্মের পূর্বেই নির্দিষ্ট ছিল। অথচ পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ বলছেন, যেন মুসলমান না হয়ে কেউ কবরে না আসে। এবং কেউ বলতে এখানে তিনি মুসলিম পিতার সন্তানদেরও অন্তর্ভুক্তি দিয়েছেন। তাহলে, এখন আমি বা আমরা কি মুসলিম নই? আমি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রমজান জুড়ে রোজাও রাখি। তবে আমি কি সত্তিই ঈমানদার, যখন একই সময়ে আমি মিথ্যা বলি, গীবত করি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করি, ইত্যাদি? ধর্ম প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে আমি যখন অপর একজন মুসলিমের বুক রক্তাক্ত করি, এটি কি সত্তিই জিহাদ? যেখানে আল কুরআন বলছেন, তোমরা নিজেরকে হত্যা করোনা।
প্রতিটি মুসলিম যেমন পরস্পর ভাই, তেমনি প্রতিটি মানুষও তো পরস্পরের ভাই। একজন মুসলিমের জন্য কেউ তার মুসলিম ভাই, এবং বাকিরা তার অমুসলিম ভাই। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী(সঃ) যে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে নিষেধ করেছিলেন। নিজের ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা এবং অন্যের ধর্মের প্রতি কোমলতা এবং সম্মানপ্রদর্শন বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের মূল নীতিমালার একটি অংশ। কিন্তু এর নুন্যতম চর্চাও কোথাও রয়েছে কি?
প্রতিটি মুসলিম যেমন পরস্পর ভাই, তেমনি প্রতিটি মানুষও তো পরস্পরের ভাই। একজন মুসলিমের জন্য কেউ তার মুসলিম ভাই, এবং বাকিরা তার অমুসলিম ভাই। বিদায় হজের ভাষণে মহানবী(সঃ) যে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে নিষেধ করেছিলেন। নিজের ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা এবং অন্যের ধর্মের প্রতি কোমলতা এবং সম্মানপ্রদর্শন বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় ইসলামের মূল নীতিমালার একটি অংশ। কিন্তু এর নুন্যতম চর্চাও কোথাও রয়েছে কি?
No comments:
Post a Comment