Today's Quote

Only a life lived for others, is a life worthwhile
-Albert Einstein

Thursday, 28 August 2014

এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও পরামর্শ

এইচএসসি পাসের পর থেকেই বিদেশে উচ্চশিক্ষার ইচ্ছাটা অনেকেরই থাকে। উন্নত জীবনযাপন, উচ্চশিক্ষার পূর্ণ গ্যারান্টি, উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং পরিশেষে ওই দেশের নাগরিকত্ব লাভ ছাত্রছাত্রীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। আর ওই সুযোগটাই নিতে চায় কিছু স্টুডেন্ট রিক্রুটিং এজেন্সি। ওই সব এজেন্সির সাহায্য ছাড়াও

আপনি বিদেশে পড়াশোনা করতে যাওয়ার কাগজপত্র নিজে তৈরি করতে পারেন। নিচের পরামর্শগুলো সবার জন্যই উপকৃত হবে।

১. আপনার সামগ্রিক শিক্ষাগত যোগ্যতার আলোকে (যেমন এইচএসসি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত হলে) এবং পরিবারের আর্থিক ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর দেশ নির্বাচন করুন। কারণ, নূ্যনতম ২৫ লাখ থেকে ৬০ লাখ টাকার নিচে ফিক্সড ডেপোজিট বা সেভিংস অ্যাকাউন্ট না থাকলে আজকাল উন্নত দেশের শিক্ষা নেয়া চিন্তাই করা যায় না!

২. IELST / TOEFL / GMAT /GRE /SAT কোর্সগুলো বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনের কারণে এগুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করুন এবং ভালো ফলাফল অর্জন করুন। এসব সার্টিফিকেট ছাড়া দূতাবাস বা হাইকমিশন থেকে ভিসাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা জিরো-ই বলা চলে।

৩. যিনি স্পন্সর হবেন, তিনি যদি আপনার পরিবারের পিতৃ বা মাতৃকুলে রক্ত সম্পর্কীয় কেউ না হন, তাহলে অযথাই কোন তৃতীয় ব্যক্তির কাগজপত্র জমা দিয়ে ভিসার জন্য আবেদন করবেন না। ভুয়া স্পন্সরের নামে গ্রেফতার হয়ে এখন অনেকে জেলে আছেন।

৪. নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, শিক্ষা বিরতিকরণ, স্পন্সর ইত্যাদির ব্যাপারে রি-কনফার্ম না হয়ে এবং সতর্কতার সঙ্গে বিশ্লেষণ না করে অযথাই বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার আনার জন্য যেখানে সেখানে টাকা জমা দেবেন না। ইউনিভার্সিটির অফার লেটার আনা আর ভিসা পাওয়া এক কথা নয়। প্রথমটা ব্যবসা, পরেরটা ইচ্ছা।

৫. যদিও বা কোন দেশের OFFER LETTER পেলেন এবং পরবর্তী টিউশন ফির নামে মোটা অঙ্কের টাকা দেশের বাইরে পাঠানোর আগে ভালো করে চিন্তা করে নেবেন। যত সহজে টাকা পাঠানো যায়, তত সহজে ফেরত পাওয়া যায় না।

৬. দূতাবাস এবং হাইকমিশনে ভিসার আবেদনপত্র জমা দেয়ার আগে সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা প্রদানের নিয়মকানুন, ডকুমেন্ট চেকলিস্ট এবং আনুষঙ্গিক তথ্য ভালোভাবে জেনে নিন এবং পরিপূর্ণভাবে ফাইল জমা দেয়ার আগে একজন ভালো অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের পরামর্শ নিন।

৭. কোন স্টুডেন্ট কনসাল্টিং ফার্মে আপনার ফাইল জমা দেয়ার আগে ওই প্রতিষ্ঠানের রেকর্ড দেখুন। আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ওই ফার্মের কোন চুক্তিপত্র আছে কিনা দেখে নিন। এমনকি যিনি আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে কাউন্সেলিং করছেন, তার যোগ্যতার ব্যাপারেও নিশ্চিন্ত হয়ে নিন। মিষ্টি মিষ্টি কথা দিয়ে ভুল ভালো বুঝিয়ে কনভিন্স করার লোকের অভাব নেই এ শহরে।

৮. যেকোন ফার্মের সঙ্গে কাজ করার আগে তাদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলে নিন। কী কী সার্ভিস কত টাকার বিনিময়ে পাবেন, ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্ব এবং ওই দেশে পৌঁছানো পর্যন্ত আপনি কিভাবে তাদের সার্বিক সহযোগিতা পাবেন, সে ব্যাপারগুলো লিখিত ডকুমেন্ট করে নিন। বিশেষ দরকার না হলে কনসাল্টিং ফার্মের সাহায্য না নিয়ে নিজে নিজেই প্রসেস করুন।

৯. বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন প্রণয়ঘটিত ব্যাপারে সিরিয়াস হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুনের বাইরে নিজ থেকে কোন কর্মকা-ে জড়াবেন না। পার্টটাইম চাকরি এবং ক্লাসে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে সজাগ থাকবেন। পরে নাগরিকত্ব পেতে এগুলো রেকর্ড হিসেবে কাজ করবে। উচ্চশিক্ষা নিতে যেহেতু বিদেশে গেছেন, সেহেতু উচ্চশিক্ষা নেয়া ছাড়া অন্য কোন চিন্তা মাথায়ই আনবেন না।

No comments: