Today's Quote

Only a life lived for others, is a life worthwhile
-Albert Einstein

Tuesday, 26 August 2014

এইচএসসির পর পছন্দের বিষয় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং


-সংগৃহীত
বারেক কায়সার

বাংলাদেশে টেক্সটাইল শিল্পের দ্রুত বিকাশ ঘটে চলেছে। বিশ্বমানের টেক্সটাইল শিল্পের কাতারে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্প ইতোমধ্যেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে এই শিল্পে প্রয়োজন দক্ষ প্রযুক্তিজ্ঞান সমৃদ্ধ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের। এই শিল্পে চাকরির সুযোগ রয়েছে অহরহ। টেক্সটাইল বা গার্মেন্টস শিল্পে দক্ষ টেক্সটাইল শিক্ষার্থীদের চাহিদা এতোটাই বেশি যে, অনেক সময় পাস করার আগেই ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরি হয়ে যায়।


বিষয় ভিত্তিক কাজের সুযোগ:

বাংলাদেশে টেক্সটাইল, গার্মেন্টস, ফ্যাশন ডিজাইনিং বিষয়ে শিক্ষার্থীদের রয়েছে চাকরির বড় বাজার। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের সুযোগের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত দেশি-বিদেশি টেক্সটাইল মিল, বিভিন্ন বায়িং অফিস, বুটিক হাউস, ফ্যাশন হাউস, গার্মেন্টস শিল্পে ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের রয়েছে অনেক সুযোগ। বিভিন্ন কম্পোজিট শিল্প, স্পিনিং, উইভিংসহ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানেও তারা কাজ করে থাকেন। সেই সাথে বিভিন্ন ব্যাংক এবং শিল্প ঋণ প্রদানকারী সংস্থাসমূহের শিল্পঋণ বিতরণ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ রয়েছে। ফলে শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরেই তাদের জন্য রয়েছে বিশাল কাজের ক্ষেত্র। যার ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহের নিকট টেক্সটাইল বিষয়ের শিক্ষার্থীদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।

কেন পড়বেন: বাংলাদেশে গার্মেন্টস শিল্পে ও টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে হলে একজন প্রার্থীকে টেক্সটাইল বা গার্মেন্টস বিষয়ে ৪ বছর মেযাদী স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় অধ্যয়নরত একজন ছাত্রছাত্রী যে কোন প্রতিষ্ঠানেই ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতনে নিজেদের নিয়োজিত করতে সক্ষম। প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন এবং শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করার পর পরই এক্ষেত্রে তাদের বেতন কাঠামো ১৫-২৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে। তবে টেক্সটাইল শিল্পে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি অভিজ্ঞতার যথেষ্ট মূল্যায়ন করা হয়। একজন দক্ষ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের বেতন ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৬০-৭০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। সেই সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদেয় অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও।

যা পড়তে হবে: টেক্সটাইল বিষয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হলে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই টেক্সটাইল টেকনোলজিতে (এ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং ও ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে অনার্স, এমবিএ) ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। এছাড়াও ডিপ্লোমা ডিগ্রী সম্পন্নকারী ব্যক্তিরাও এই শিল্পে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে সক্ষম হতে পারে। টেক্সটাইল, এ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং ও ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে অনার্স, এমবিএ ডিগ্রী সম্পন্নকারীকে টেক্সটাইল টেকনোলজির আধুনিক সকল প্রযুক্তি সম্বন্ধে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হয়। তাই মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে চাই-আধুনিক ক্যাম্পাস, দক্ষ ফ্যাকাল্টি এবং বিশেষ করে প্রতিষ্ঠানের উপযুক্ত মানসম্পন্ন অবকাঠামো। 

কোথায় পড়বেন: টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে রয়েছে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ১৪টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ১টি টেক্সটাইল কলেজ, ৪টি ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজ, ৩৫টি ডিপ্লোমা পর্যায়ের ইনস্টিটিউট এবং ৪০টি সরকারি বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে শিক্ষা দিচ্ছে। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে 'কলেজ অব টেক্সটাইল টেকনোলজি'র চাহিদা সবচেয়ে বেশি। সারাদেশে মোট ৪টি সরকারি টেক্সটাইল টেকনোলজি কলেজ রয়েছে। 

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান: বিদেশে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের বিপুল চাহিদার কারণে কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে মাইগ্রেশনের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রচুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। সরকারি-বেসরকারি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।

এগুলো হলো— বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়- www.butex.edu.bd; ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ, নয়ারহাট, সাভার- info@niter.edu.bd; বেগমগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, নোয়াখালী- btec.jimdo.com; পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, পাবনা-www.pabtec.gov.bd; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল টেকনোলজি, টাঙ্গাইল- titangail.gov.bd; শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বরিশাল- www.arstecb.com; আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-www.aust.edu; ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-www.daffodilvarsity.edu.bd; প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি- test.primeasia.edu.bd; সাউথ-ইস্ট ইউনিভার্সিটি-www.seu.ac.bd; বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি- www.bift.info; অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-www.atishdipankaruniversity.edu.bd; ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-www.wub.edu.bd; গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ- green.edu.bd/gub; সিটি ইউনিভার্সিটি- www.cityuniversity.edu.bd; ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া-www.unisa.ac.bd; দ্যা পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ- www.pub.ac.bd; ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি-www.nift.edu.bd.

No comments: